ভালোবাসা মহান আল্লাহতায়ালার এক বড় নেয়ামত। এ নেয়ামতের কেউ সুষ্ঠু ব্যবহার করে, আবার কেউ অপব্যবহার করে। প্রকৃত ভালোবাসার মাঝেই দুনিয়া ও আখেরাতে মহান কল্যাণ নিহিত রেখেছে।

সৃষ্টির আত্মপ্রকাশই হলো ভালোবাসা। পানি থেকে ঢেউ, ঢেউ থেকে ফেনা, আর ফেনা থেকে মৃত্তিকা আর মৃত্তিকা থেকেই ধরাপৃষ্ট কোন গুঞ্জনে, কোন জিকিরে, কোন মহব্বতে এ সৃষ্টি আশেক আর মাশুকরা সেটা উপলব্ধী করতে পারে। ভালোবাসার অপব্যবহার করলে জান্নাতি পোষাক দেহে থাকবেনা, পাবেওনা। এ ভালোবাসা শুধু সৃষ্টিকর্তাকে রাজি খুশির জন্য হতে হবে।

আদম সন্তানেরা ভালোবাসার অপব্যবহার করলে তাদের পরিণতি সুখময় স্থান হবে না। ভালোবাসার অপসংস্কৃতি আমাদেরকে গ্রাস করেছে। তাই সঠিক তথ্য না জেনে মানুষ বিপথগামী হচ্ছে।ভালবাসার পরিচয় ‘ভালবাসা’ এক পবিত্র জিনিস যা আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এর পক্ষ হতে আমরা পেয়েছি। ভালবাসা’ শব্দটি ইতিবাচক। আল্লাহ তা‘আলা সকল ইতিবাচক কর্ম-সম্পাদনকারীকে ভালবাসেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
وَلَا تُلْقُوا بِأَيْدِيكُمْ إِلَى التَّهْلُكَةِ وَأَحْسِنُوا إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الْمُحْسِنِينَ
‘‘এবং স্বহস্তে নিজেদেরকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়ো না। তোমরা সৎকর্ম কর, নিশ্চয় আল্লাহ্ মুহসিনদের ভালবাসেন।’’(সূরা আল-বাকারা:১৯৫)
ভুলের পর ক্ষমা প্রার্থনা করা এবং পবিত্রতা অবলম্বন করা এ দুটিই ইতিবাচক কর্ম। তাই আল্লাহ তাওবাকারী ও পবিত্রতা অবলম্বনকারীদেরকেও ভালবাসেন। আল্লাহ বলেন,
إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ التَّوَّابِينَ وَيُحِبُّ الْمُتَطَهِّرِينَ
‘‘নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তাওবাকারী ও পবিত্রতা অবলম্বনকারীদেরকে ভালবাসেন।’’(সূরা আল-বাকারা:২২২)

তাকওয়া সকল কল্যাণের মূল। তাই আল্লাহ মুত্তাকীদেরকে খুবই ভালবাসেন। তিনি বলেন,فَإِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الْمُتَّقِين
‘‘আর নিশ্চয় আল্লাহ মুত্তাকীদেরকে ভালবাসেন।’’